ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামের গুণে গুণান্বিত হতে যে পাঁচটি গুণ থাকতেই হবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৭, ১১ এপ্রিল ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

তাকওয়ার গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিকে মুত্তাকী বলা হয়। অর্থাৎ যাদের অন্তরে আল্লাহ তা'আলার ভয় আছে এবং যারা পাপ থেকে বেঁচে থাকেন তারাই মুত্তাকী। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি নিজেকে শিরক, কবিরা গুনাহ এবং অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে মুক্ত রাখে তাকে মুত্তাকী বলা হয়। মুত্তাকী ব্যক্তি সততা, আমানতদারি, সহনশীলতা, কৃতজ্ঞতা, ন্যায় ও ইসলামের গুণে গুণান্বিত হয়ে থাকে। 

মুত্তাকীর গুণ: কুরআন হলো মানুষের জন্য হিদায়াত বা পথপ্রদর্শক। কিন্তু সবাই এই কুরআন থেকে হিদায়াত পাবে না। হিদায়াত পাবেন তারাই যারা তাকওয়া অবলম্বনকারী, তথা মুত্তাকি, ‘হুদাল্লিল মুত্তাকিন অর্থাৎ এই কুরআন হলো হিদায়াত মুত্তাকীর জন্য।’ আর মুত্তাকী হলো তারা ‘যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, নামাজ কায়েম করে এবং তাদের যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে, আর তোমার প্রতি যে কিতাব নাজিল করা হয়েছে এবং তোমার আগে যা নাজিল করা হয়েছিল, তার ওপর ঈমান আনে এবং আখেরাতের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখে, তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। (সুরা বাকারা: ৩-৫)

উপরিউক্ত আয়াত গুলোতে মুত্তাকীদের পাঁচটি মৌলিক গুণের কথা বলা হয়েছে:

১. অদৃশ্য, দৃষ্টির অন্তরালের বস্তু, যা ইন্দ্রিয়ানুভূতির অতীত, যেমন আল্লাহ, ফেরেশতা, পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি ঈমান আনা বা বিশ্বাস স্থাপন করা। 

২. যথাযথ ভাবে যথা নিয়মে, যথা সময়ে সব শর্ত পালন করে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে নামাজ সম্পাদন করা। 

৩. আর্থিক ত্যাগ স্বীকার করে মানব কল্যাণে আল্লাহ তা'আলার পথে ব্যয় করার মানসিকতাসম্পন্ন হওয়া। 

৪. আল্লাহ তা'আলার দিকনির্দেশনা সংবলিত সব আসমানি কিতাবে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে আল-কুরআনুল কারিমকে স্বীকার করা ও সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। 

৫. মুত্তাকীর পঞ্চম গুণ হচ্ছে পৃথিবীর জীবনের কর্মের চিরস্থায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য পরপার জীবনের ওপর সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি